🇮🇳 বাংকারের পবিএ ভূত 🇮🇳 - ডঃ অরুণ চক্রবর্তী | Bunker er pobitro bhut - Dr. Arun Chakraborty

....🇮🇳বাংকারের পবিএ ভূত🇮🇳....

 ডঃ অরুণ চক্রবর্তী

( কাহিনী কবিতা )

সেনার অফিসার হয়ে কাজ করার সময়, ভারতের কোন ফরওয়ার্ড বেসে, কাজকর্মের সুবাদে, ছিলাম আমার ইউনিটের সাথে!

সময়টা, ১৯৮৫, সুউচ্চ হিমালয় পর্বতশ্রেণী, বেশ কয়েক টি গিরিপথ পেরুতেই বিপদশংকুল, কারাকোরাম!

হাড় হিম করা শুষ্ক ঠান্ডা, বরফের কয়েক টন ওজন, আগাম জানান না দিয়েই খসে গেলো, নিচের ছোট কুলী বস্তি নিশ্চিহ্ন হলো নিমেষে!

আর্মির BRO কর্তৃপক্ষ উপস্থিত, মূহুর্তে, খবর হলো প্রায় ৫০ জন নিহত ও নিঁখোজ! নামল সেনা, আমার বিশেষ জরুরী নির্দেশে।

থামালাম কনভয়,  সিও..র অনুমোদন ছিল বিশেষ প্রয়োজন, 

বহু বহু নিচে পাহাড়ী নদী, প্রচন্ড স্রোতে, টেনেছে অনেক শ্রমিক ভাইকে, জলগতির ঘূর্ণী প্রবাহে! 

পাওয়া গেল কিছু আহত কে, পাঠানো হলো তড়িঘড়ি; বেস হসপিটালে। জানা নেই, আজ কতজন প্রাণে, বেঁচে আছে?

আবার SOP মেনে চলা এগিয়ে, ছবির মতো হিমালয়ের বুক চিরে, রাস্তা পড়ে আছে, যেন মেয়েদের, কালো চুলের ফিতে! চড়াই উৎরাই,

খাদ......হাজার ফুট, মৃত্যুর হাঁ করা উপোসী মুখ, তাকিয়ে আছে, শুধু সামান্য ভুল!, কেউ কোনদিন, ফেরে না, তার মুখ থেকে! 

শক্তিমান আর্মির সারি সারি Truck, বেয়ে চলেছে, যেন পিঁপড়ের সারি! কয়েক ঘন্টা এল ঘুরে ফিরে, জোঝিলা পাস্.....শরীরে মনে জাগে, বীরত্বের রেশ! ভারতের বিক্রমের জয়গাথা লেখা আছে এখানে।

কর্ণেল সুরজিত সিং, ব্যাটালিয়ান কম্যান্ডার, পৌঁছে স্যালুট দিয়ে, স্যার, ক্যাপ্টেন রিপোর্টিং। সঙ্গে সঙ্গে কর্ণেল সাব অ্যাপয়েন্টমেন্ট তুলে দিলেন আমার হাতে; আমি কিছুদিন আগে আসা, নতুন ইনফেন্ট্রি ইউনিটে যোগ দিলাম ক্যাপ্টেন হিসাবে একটি কোম্পানির দায়িত্ব।

এক প্লাটুন, মাত্র ৩টি সেকশন, ফর্মেশন...,কিছু পরে সবাই, প্যাটরলে যাই, রেকী করি LAC পায়ে পায়ে, নোট করি কিছু কিছু, ফৌজি মিটিং এ উঠবে, ভাবনার নেবে পিঁছু!

বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ানক এ স্হান, লড়ছে ভারত মহান! এখানেই ঠান্ডা মরুর শুরু! দুকুঁজের লোমোষ উট, BSF রাখে হাজিরাতে! প্যাংগং লেক,

পিছনে ফেলে, ভারত রেখেছে তুমুল প্রহরা! করেছি inherit মেশিন গান আর ফিল্ড গানের সাঁজোয়া! গ্রেনেডিয়ারের দল ঘুরছে, নিঁখুত নিশানা তাদের, এগুলে শত্রু হবে ছিন্ন ভিন্ন ঝাঁঝরা।

পকেটে আমার কিছু লং সার্ভাইভাল.... চকোলেট, চামরী গাইয়ের ছুরপী....এ্যানটি এ্যাপেটাইট, কারিপেস্ট, কাজে লাগে যুদ্ধের সাক্ষাতে।

আমার তাঁবু আছে বিশেষ ত্রিভূজে, কৌতুহলী চোখ পড়ে সারি সারি বাংকারে!

স্থলযুদ্ধের এগুনো পিছানো....সামরিক কৌশল, ধোঁকা দিয়ে নিকেশ করতে বাংকার সম্বল অবশেষে!

টহলে কাটিয়ে সারা রাত প্রায়; আধ ঘন্টার অবসরে, ঢুকি বাংকারে, ঝিমুনি, চোখের পাতা ভারী হয়ে আসে; ঠিক্ তখনি পিঠে অজানা কেউ দেয় যেন টোকা! কানে আসে, ফিসফিসে স্বর .....• সাব, ম্যায় হুকুম সিং, ১২ শিখ রেজিমেন্ট, সুবেদার মেজর, হুঁ আপকী সাথ, ম্যায়, খানা, পিনা, ছোড় দিয়া, কভী নিদ্ ভী নেহি লেতে.....”মেরা বাংকার মে ইয়ে মনা হ্যায়,” আমি ভাবাবেশে চমকে উঠলাম! এবার আমার বাঁদিকে ফের আনত কন্ঠে অনুযোগ, ম্যাঁয় সিপাহি রামঅবতার তিরপাঠি, ১৬ কুঁমায়ু রেজিমেন্ট, মেরা হত্যা হুয়া থা, চীনি 

সৈনিক দ্বারা গ্রেনেড ফেকন্ পর....যব ম্যাঁয়নে ৫ চীনি পিএলএ গার্ড কো মার গিরায়া থা.... ম্যাঁয় ভী আজ তক্ শোয়া নেহি !

ক্ষণিক আবেশে, কী শুনলাম আমি ! 

ঠিক নাথুলায়, আজো ঘটে; সন্ধ্যায়, প্রভাত, ক্যাপটেন হরভজন সিং......কত শত 

বীর সৈনিক; বিদেহী, নিশ্চল তবু প্রতিভাত প্রতিজ্ঞায়, জাগ্রত ভুমিকায়! 

উঠলাম ওজস্মিতায় জ্বলে, ছুটে বেরোলাম, বন্ধন খোলেনি ওরা আজো, স্বর্গের ডাক তুচ্ছ, মৃতুঞ্জয়ী বীর যোদ্ধা, আজো রয়ছো অক্লান্ত যুদ্ধে, লক্ষ রাখে, হানাদার চৌয়েনের চীনকে!

স্যালুট প্রণাম দুটোই, তাঁদের বিসর্জনের সংসার দুঃখ বা সুখ, 

সাবাশ! বন্ধু, দেশ বরেণ্য; 

প্রণম্য রবে চিরদিনই;

শৌর্যে, বীর্যে, অনন্য, অদ্ভুত! অগ্রগামী 

ভারত সেনার পবিত্র 🇮🇳বাঙ্কার ভুত 🇮🇳।।

(REGISTERED UNDER COPYRIGHT ACT)