আফ্রিকা ~ ডঃ অরুণ চক্রবর্তী | Africa (bangla kobita) ~ by Dr. Arun Chakraborty

...............আফ্রিকা...............

(কাহিনী কবিতা)

                            ~ ডঃ অরুণ চক্রবর্তী

দেখেছি আমি আফ্রিকা, উৎমাসা হয়ে জানজীবারের পথে মোমবাসা! দীর্ঘ যাএা,কত পরিবেশ,কত বন্ধুর মালভূমি আর পর্বত হলো যে চড়া, দঃসাহসীর রোমাঞ্চ জডিয়ে সে কথা 
হয়নি তো বলা। 
আদিম অন্ধ, প্রকৃতি স্তব্ধ, লক্ষ জোনাকির জ্বলা, পশু,প্রকৃতির দেখেছি, হিংস্র জীবন খেলা!
বেরতে হয়েছে, পেরতে হয়েছে, কত মরু, কান্তার, দুসতর পারাবার; হেঁকেছে সাহস, হেসেছে ভাগ্য,Livingston এর পথে পথে! ডুবিয়েছি পা, নয়নাভিরাম, ভিকটোরিয়া প্রপাতে।
কখনো বা ছুটেছি বন্ধু,কিসুমু, মাসাইমারার হাতে হাত রেখে, স্বপ্ন দেখার মতো একটু আয়েশে, ক্ষণ বিশরামে, সেরেংগেটীর সবুজঘন,
মনোরম গালিচাতে। সহসা! কাঁপল মেদিনী, ঊহুম.....ঊহুম্.....ঊহুম....সিংহ  গর্জনে.....মৃতু্র ভয় আপন প্রমাদ গনে, অতর্কিতে, ধেয়ে আসে,  মাসাই যোদ্ধা! যেন দেবদও, ঘটি বাঙালীরে, বাঁচায় সেদিন, কোনোক্রমে!
নেমেছি আমি কংগো বেসিনে, ব্রাজাভিল কিছু দূরে, কংগো নদী, উচ্ছাসে তার, বহে চলে দুর্বার গতি, আত্মহারা বন্য কণ্যা মহাসাগরের পানে।
খুঁজেছি আমিও ঐতিহাসিক কিং সলোমন‘’s মাইনস, গভীরতম, দুর্গম, শ্বাপদ শংকুল, পদচিহ্নহীন, অপরাহ্নের অন্ধকার, অসীম অরণ্যে।
এই আমি, ছুঁয়েছি কিলিমাঞ্জারো; ঐ দূরে, কুয়াশায় ঢেকে আছে চাঁদের পাহাড়!
আশ্রয়হীন হয়ে মিলেছে অনেক অনেক আশ্রয় আবছায়া, মনে পড়ে, উটপাখির পাহারাভেদে, সুবিশাল ডিম, সে ওমলেটে, বল ফিরেছিল কত যে বার, গুনে বলা মুশকিল!
সফেন, অট্টহাসে চিরনবীনা, জামবেজিকে যদি
জানতে! অধরা সূর্য কিরণে; তার মাতৃ স্নেহ মানতে!  
ঘুরেছি আমি, পরশ করেছি, এডেন সৈকত, বেনগাজী দিয়ে এিপলি কে ছুঁয়ে দীর্ঘ সে যাত্রা পথ, পৃথিবী দেখেছি, বুঝেছি মানুষ, হয়নি জানার অন্ত!
কালো মানুষের কতো ব্যাথা, কত শৃঙ্খল ভাঙা, সাদা মানুষের উন্নাসিক ক্রোধ, কিঞ্চিত মানবতা, দাঁড়ায়ে আজ দুপায়ে শক্তির আফ্রিকা।
কিছু নিলে কিছু তো হারাতে হয়, সেটাই নিয়ম, দুনিয়াদারীর, এটাই তো অব্যয়!
যতো ধন আছে এ মহাদেশে! হবে না কোনদিন মান নির্ণয়, হবেই উন্নতি, হে আফ্রিকা নিশচয়।
কতই না বার, মর্মবাণী, শুনেছি এ মহাযাত্রায়; কথা না বলা, ভাষায় প্রকাশ করা যায়!
তপ্ত মরুর ফিনিক্স শীতল আঁখীপটে, নির্দেশ করে, মিলিবে আবার অরুণ কিরণ হারমন পর্বতে!
কি আছে এই ইঙিতে অর্ধনারী স্বর! হে বিধাতা প্রকাশ কর, কিছু গূঢ সংশয়, সন্ত মনে জিজ্ঞাসা কহে।
নমস্কারে, নতজানুতায় ছাড়ি সে স্থান; পুণ: গতিধারার সর্পিল পথে, নাহি বিশ্রাম।
পথে পড়ে অন্যান্য কত নগর, শহর, অনামা গ্রাম, জীবনের সুচিপত্রে, তুলে রাখলাম।
শেষে এসে দেখি, মহান স্বাক্ষর, মহাযুদ্ধের অগ্নিদগ্ধ, মিত্র বাহিনীর মনোরথ; জার্মান পরমবীর ফিল্ড মার্শাল রোমেলের বিশ্ব বিজয় ক্লাসিক, আল-আলামিনের ক্ষুধিত যুদ্ধ......ব্রিটিশ মার্কিন মিত্র শক্তি, বার বার হাঁটু গাড়ে! একা রোমেল, 
মন্টোগোমারী, অকিন্লেক 
আইজেনহাওয়ারের....কান মুলে কষে
লিবিয়ার সে ময়দানে, ভীষণ ভয়াল 
সাঁজোয়া যুদ্ধ, বিশ্ব বিজয়ী রোমেলের ওরা আজও জয়গান করে।
রোমেল......রোমেল......,রোমেল......
দেখালে তুমি ৩-১ এর খেল্! Salute তোমায় হে চির বীর...জার্মান তুমি বীরত্বে মহান!
Long Live Afrika Corps!!
সত্য বলছি, করো বিশ্বাস, 
তারুন্য ভরা কাহিনী আমার, 
হেঁটেছি কায়রো শহরে, ধুলি ধুসর,
প্রাচীন মিশর, স্পর্শ করেছি গীজা পিরামিড, মৃত্যু উপত্যকা! মরুশহর আসোয়ানে, দেখেছি নারীদের বিকিকিনী।
পেয়েছি আভাস, নীল নদ তীরে; স্থির নীল জলে, মনের দৃষ্টি ফেলে, ক্লিওপেটরার, চাহনি মদির; স্থান, কাল ভুলে, কামনা অস্থির, রোম সম্রাট, মহামান্য, অজেয়, বরেণ্য শক্তিশালী সীজার; পরাক্রমী সেনাপতি; জাতীয় বীর অ্যান্টোনিওর; এক ফুল দো মালীর রেষারেষি!
পাঠক, বুঝেছ এ কাহিনীর সব কথা, কাল প্রত্যুষে, বিমান ধরব, কায়রো শহর হতে; এবার যাত্রা আমেরিকা মহাদেশে।
আসব  আবার.....আবার.....কৃষ্ণ কলি, আমি তারেই বলি! ফিরে যাবো প্রতি প্রতিবার, দেখিতে মাসাই, বুশম্যান, হটেনটট্ ,জুলু, পুর্নমিলন হবে, হে আফ্রিকা, ক্ষণিক বিদায়, নহে বিচ্ছেদ, রইল তোমার পরে প্রত্যাশা, কালো মানুষের দেশ আফ্রিকা।


(Registered under Copyright Act, 1976)

🌺🌺 সবাই জানাবেন লেখা কেমন লাগলো?🙂🙂 🌻🌻 লেখা ভালো লাগলে লাইক করুন আর নিজের বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন 🙏🌹 💐🙏ধন্যবাদ 🙏🌼।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন