🇮🇳আমেরিকার মর্যাদা ক্ষুন্ন🇮🇳 ~ ডঃ অরুণ চক্রবর্তী | সামরিক প্রবন্ধ

🇮🇳আমেরিকার মর্যাদা ক্ষুন্ন🇮🇳

~ ডঃ অরুণ চক্রবর্তী

(সামরিক প্রবন্ধ)

২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯, সকাল ৯:৩০, শ্রীনগর বিমানঘাঁটি।

রেডারে ধরা পড়লো, পাকিস্তানী অত্যাধুনিক এফ-১৬, ও চীনের, তৈরী, রাশিয়ান নকশার নকল, জে-৭ দশটি জঙ্গী বিমান খুব নীচু, দিয়ে, তীব্র গতিতে, ভারতীয়; কাশ্মীরের দিকে, উড়ে আসছে! মতলব, ভারতের বালাকোটের; সার্জিকাল স্ট্রাইক এর বদলা; নেওয়া! ভারতীয় সেনা ও বিমানঘাঁটি গুলোকে ঝটিকা আক্রমণে একেবারে, গুঁড়িয়ে দেওয়া! 

শ্রীনগর বিমানঘাঁটি, মূহর্তে অবস্থা বুঝে, একটি আধুনিক মিগ-২১-বি কে, আকাশে পাঠালো। খবর এলো আকাশ থেকে, এক্ষুণি, অনেক যুদ্ধ বিমান পাঠাও, তৎক্ষণাৎ, ভারতীয় জঙ্গী বিমান মিগ-২১ ও সুখোই-৩০ এম কে আই বিমান গুলো, শব্দের গতির আগে আকাশে উড়ে গেলো! প্রথম পাকিস্তানী এফ- ১৬ জঙ্গী বিমানটি, শ্রীনগরের কাছে ভারতীয় সেনা বাহিনীর, ব্রিগেড হেডকোয়ার্টার কে আর গোলাবারুদের এ্যামুনিশন ডিপো কে, বোমা মেরে উড়িয়ে দিতে চাইলো! ভয়ংকর সুপারসোনিক, বিমান এই এফ-১৬ বিমানগুলো, এদের আকাশে দেখলে আকাশ ফাঁকা হয়ে যায়। একমাত্র কুশলী ও পাগল জঙ্গী বৈমানিক ছাড়া, কেউ ওকে মোকাবিলা করে না। সারা বিশ্ব জঙ্গী বিমান বিক্রিতে সবচেয়ে ওপরে 

এই এফ-১৬ উড়ন্ত বাজ! অত্যন্ত আধুনিক, আর সুদৃশ্য এই বিমান! পাইলটকে প্রায় নিয়ন্ত্রণ করে, এর আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, অদৃশ্য শত্রু বিমান যা ওড়ে বিভিআর সীমানায়!

সব রকমের ক্ষেপনাস্ত্র কে দেখে একই সঙ্গে ধ্বংস করে দেয়! মালটি মোড প্রকৌশলে! এহেন, বিমান চক্রব্যূহ তৈরী করলো পাকিস্তান, কিন্তু সাচ্চা দেশপ্রেম ও কুশলী এবং একটু ইনস্টেবল মাইন্ডের সাহসী বৈমানিকরা আগু পিছু ভাবেন না! আমাদের জঙ্গী বৈমানিক রা সাহাদত দেওয়ার জন্য সবসময় প্রস্তুত।

শুরু হলো আকাশ লড়াই, পাকিস্তানীরা কিছু বোঝার আগেই, ভারতের জঙ্গী বিমানগুলো দারুণ আক্রোশে ধাওয়া করতে লাগলো, প্রথম মিগ-২১-বি, যেটি আকাশ পরিদর্শনে গিয়েছিলো, একটি পাকিস্তানী এফ-১৬ কে মিসাইল মেরে, আগুন ধরিয়ে দিলো, মাখ -২ উড়তে থাকা পাকিস্তানী বিমান, পাকিস্তানী দখল করা কাশ্মীরের দিকে পালিয়ে গেলো, কিন্তু প্রায় সঙ্গে সঙ্গে ভারতীয় মিগ-বিমান টির এ্যামরাম মিসায়েলের প্রহারে ঘায়েল হলো, ভারতীয় উড়ন্ত বৈমানিকরা যে যার ককপিটে বসে জয়োল্লাস করলেন, যে মিগ-২১-বি, বিমানটি; পাকিস্তানি এফ-১৬ কে মিসাইলে ধ্বংস করলেন, পাইলট, অভিনন্দন বর্ধমান, এই দৃশ্য আমেরিকান গোয়েন্দা উপগ্রহ থেকে পাঠানো, টেলি ফোটো তে পুরোটা স্লো মোশানে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর পেন্টাগনের সর্বোচ্চ কর্তারা দেখলেন! লালরক্ত মুখের মানুষ গুলোর ভ্রু কুঞ্চিত হলো! চরম বিরক্তিতে, মার্কিন রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করা হলো,মার্কিন সামরিক হাই কম্যান্ড থেকে, স্যার, পাকিস্তানী ডঙ্কি রা, প্রথমে উন্নত স্যাবার জেটের নাম ডুবিয়েছিলো আর আজ আমেরিকার মান সম্মান নিয়ে ছেলেখেলা করলো। ওদের এই এফ-১৬ (ডি-ব্লক) যুদ্ধ বিমান দেওয়া বন্ধ করুন। নাহলে আমেরিকার যুদ্ধ বিমান বিক্রির বাজার শেষ হতে সময় লাগবে না! মার্কিন প্রেসিডেনট ডোনাল্ড ট্রাম্প, একেই পাকিস্তানের নাশকতা ও  সন্ত্রাসবাদী কাজে প্রচন্ড বিরক্ত ও বেদনাহত ছিলেন! কোন দুটো কথা না বলে, পেন্টাগনকে আর এফ—১৬, জঙ্গী বিমান পাকিস্তান পাবে না বলে, ঘোষণা করে দিলেন! প্রকৃত বাস্তব ছিলো, এই এফ-১৬ অত্যাধুনিক জঙ্গী বিমান রাশিয়ান দের, বিরুদ্ধে আফগানিস্তানের আকাশে লড়াই করার জন্য মূলত দেওয়া হয়েছিলো! ভারতের বিরুদ্ধে কোনভাবেই ব্যাবহারের জন্য নয়! এই চুক্তিতে সম্মত হবার পরেই পাকিস্তান এই মারাত্মক বিমান পায়। যে বিমানের সাইড উইন্ডার আর বিভিআর ও এ্যামরাম মিসাইল গুলো দিয়ে একটা মাত্র এফ-১৬, ছোট খাটো হাওয়াই লড়াই শেষ করে দিতে পারে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে তা বার বার প্রমাণিত হয়েছে। ভারত তথা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ গুলো হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে! আমেরিকা তার মূর্খ মোল্লা মিথ্যেবাদী, দয়ার দানে বাঁচা, পাকিস্তানের গলা টিপে রেখেছে, বিলিয়ণ ডলার দান প্রায় শূণ্যতে ঠেকেছে, আদর আব্দার সব বিদায় নিয়েছে! এফ-১৬ তো দূর অস্ত!

জয় ভারত, জয় ভারতী।


(REGISTERED UNDER COPYRIGHT ACT)

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন