রাহুল ভট্টাচার্য | Rahul Bhattacharya


রাহুল ভট্টাচার্য

রাহুল ভট্টাচার্য , রেলওয়ে কলোনির পরিমন্ডলে বেড়ে ওঠা এক সাধারণ পরিবারের সন্তান। স্থানীয় রেলওয়ে উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১২ টি বছর কাটিয়ে আলিপুরদুয়ার কলেজে বাংলা সাম্মানিক স্নাতক স্তরে উত্তীর্ণ হয়ে গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে স্নাতকোত্তর স্তরে উত্তীর্ণ হই, প্রাথমিক অবস্থায় লেখালেখি তেমন ঝোঁক ছিল না পরবর্তীতে সমাজের চারপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনা ও কিছুটা কাল্পনিক বিকাশের দরুন ইচ্ছেগুলোকে কলমের আচড়ে প্রকাশ করার চেষ্টা মাত্র করি সেটা কবিতা আদৌ হয় কিনা জানা নেই। তবে এই প্রয়াস গুলো সমাজের জন্য সমাজের সকল স্তরের মানুষের জন্য। 

           প্রথম লেখার ইচ্ছাটা জন্ম নেয় কলেজের সরস্বতী পূজার দেওয়াল পত্রিকায়। অন্তরালে নামে একটা কবিতা প্রকাশিত হয়। তারপর দীর্ঘদিন তেমন লেখা লেখি হয় নি। বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে সেখান কার বার্ষিক পত্রিকায় আমার প্রথম লেখা বের হয়। তারপর থেকে গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কল্যানে বেশ কয়েকটি লেখা প্রকাশিত হয়। তবে তা বিচ্ছিন্ন ভাবে। সেই লেখার মধ্যে ইচ্ছা তা থাকলেও সৃষ্টির আনন্দ খুঁজে পাচ্ছিলাম না।
স্নাতকোত্তর স্তরে উত্তীর্ণ হয়ে ফিরে আসি আলিপুরদুয়ারে। সংবাদ পত্রে জনমত এ লিখতে থাকি। কিন্তু কোনোমতেই প্রকাশিত হচ্ছিল না। প্রথম যে বিষয় টা প্রকাশ পেল তা হলো অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পাশ ফেল প্রথা তুলে দেবার সিদ্ধান্ত। এরপর থেকে বেশ কয়েকটি লেখা সংবাদ পত্রে বের হয়। তখনো কবিতা চর্চা সেভাবে শুরু হয়নি। স্থানীয় নোনাই পত্রিকা কবিতা লেখার সুযোগ দেয়। প্রথম কবিতা ' পরিবর্তন' । এর পরথেকে বিভিন্ন পত্রিকায় লেখা বেরিয়েছে কলকাতার নহবত, মেদিনীপুর এর অচেনা অতিথি, শিলিগুড়ি ঢাকা, ত্রিপুরা সেই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

        কবিতা আমার কাছে মগজের পুষ্টি । সমাজের চারপাশের ঘটে যাওয়া যাবতীয় কিছুর বহিঃপ্রকাশ।তবে আমার কবিতা ছিন্নবিছিন্ন নির্দিষ্ট কোন পাণ্ডুলিপি তে তা লিপিবদ্ধ নেই। টুকরো টুকরো কাগজেই সে বেড়ে উঠছে। সম্প্রতি চেষ্টা করছি সেগুলো কে পাণ্ডুলিপির রুপ দেওয়ার। লেখালেখি ছাড়া মাঝেমাঝেই বসে পড়ি ফেলুদা, কাকা বাবু, ব্যোমকেশ কে নিয়ে। আর আড্ডা সে তো আমাদের মজ্জায়, ক্লাব, বন্ধু, আড্ডা, এগুলি নিত্যদিনের সঙ্গী। আর কবিতা লেখালেখি এ সবের মাঝে সামাজিক কাজকর্মে যুক্ত থাকতে মানুষের পাশে দাঁড়াতে ভালোবাসি এবং আগামীর পরিকল্পনা বলতে ঠিক শক্তি চট্টপাধ‍্যায়ের ভাষায় বলতে ইচ্ছা হয় "মানুষ হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াও" সেই ভাবে মানুষ হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই। আমার এই ছন্নছাড়া জীবনের দিনলিপি বাস্তবায়নে সব সময় আমার পাশে দাঁড়িয়ে সাহস জুগিয়ে যাচ্ছে আমার বাবা রঞ্জন ভট্টাচার্য, মা অপর্ণা ভট্টাচার্য, ভাই রাজদীপ, বোন রাজরুপা আমার সকল বন্ধু রা ও আমার কর্মস্থল নাটাবাড়ি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক সহ আমার সকল সহকর্মী রা, তাই আজ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি যদি কখনো পূর্ণতা পাই সেদিন নিশ্চই সবার সামনে আবার আসবো,আজ এটুকুই। ধন্যবাদ



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন