এক অচেনা প্রেমের রূপ /রুমি কুন্ডু | Ek Ochena Premer Roop/ Rumi Kundu

 এক অচেনা প্রেমের রূপ

~✍️ রুমি কুন্ডু
Artist:-Disha Karmakar
আমি রিয়া, আমি খুবই সাধারন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছোটো মেয়ে, সত্যি বলতে আমাকে বুঝতে হয়েছিলো ভাত আর বিরিয়ানি এর মধ্যে পার্থক্য তাই নিজের মায়ের আর দাদার মাথায় বোঝা হতে কোনোদিন ও চাইতাম না‌। হ্যাঁ আমি মা আর দাদা বলছি কারন আমার বাবা অনেক ছোটোবেলায় মারা যান। তাই হয়তো অনেক ছোটোবেলা থেকেই আমাকে বড়ো হতে হয়েছিল তাই আমি সাধারন মেয়েদের থেকে আলাদা ছিলাম। 
    আমি বরাবরই সরকারি চাকরি করতে চেয়েছিলাম সত্যি বলতে যে চেষ্টা করেনি তাও না কিন্তু সত্যি বলতে আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের সরকারি চাকরি পাবা আর হিরে পাবা একই আর বয়স তো বাড়ছে তার মধ্যে নিজের মায়ের মাথায় আরো বেশি বোঝা হতে সত্যি চাই নি তাই তড়িঘড়ি করে একটা প্রাইভেট কম্পানি তে চাকরিতে ঢুকলাম, তখনও যে আমার পরিবারের কেউ আমার মায়ের ওপর আমার বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করতো না তা নয় কিন্তু আমি বলেছিলাম আমি একটু আলাদা ধরনের আসলে আমি যে একা চলতে পারি কারো সাহায্য ছাড়াই এই ব্যাপারটা ই সবাইকে বোঝাতে চাইতাম তাই বলে আমি যে ভালোবাসা বিশ্বাস করতাম না তা নয় এমনকি ছোটোবেলা থেকেই আমার সত্যি বলতে অনেক ক্রাশ (কাউকে ভালো লাগা) ই ছিল কিন্তু ওই ভালোবাসা টা আর হয়ে ওঠেনি হয়তো তেমন কাউকে পাইনি।যাই হোক এই ভাবে অনেক গুলো দিন কাটলো এখন তো আমার দাদা বিয়ে করে বউ না আমার বড়ো দিদি এনে দিয়েছে খুবই ভালো মনের মানুষ আমার বউদি। এর মধ্যে আমি সরকারি চাকরির প্রস্তুতি এবং এক্সাম দিচ্ছি । না......, প্রাইভেট চাকরি টা এখন ও ছাড়িনি। ২মাস এই ভাবেই কেটে গেলো এরমধ্যে বুধবার অফিস এ কাজ মিটিয়ে বেড়াতে বেড়াতে রাত ৯ টা হয়ে গেলো ট্রেন মিস !, বাসে করেই ফিরতে হবে । বাস স্ট্যান্ড এই দাঁড়িয়ে ছিলাম হঠাৎ একটা গাড়ি থামাল গাড়ি থেকে লোকটি নেমেই  তার  ড্রাইভার কে খুবই বাজে ভাবে কথা শুনাতে লাগলো আমি আগেই বলেছি যে আমার বাবা অনেক ছোটোবেলায় মারা যান তাই আজ ও বাবার মতো কোনো ভদ্রলোক দেখলে মায়া পড়ে যায় তাই না চেনা সত্ত্বেও আমি ওই খিটখিটে, বদমেজাজি ছেলেটা কে অনেক কথা শোনাই। তারপর আর আমার সেই ছেলেটির সাথে দেখা হয়নি। 
  এরপর একদিন আমি আমার প্রেগন্যান্ট বৌদি কে নিয়ে হসপিটাল এ যাচ্ছি । আবার সেই বদমেজাজি ছেলেটার সাথে দেখা, তবে সেই দিন সে সাহায্য না করে তাঁর গাড়ি করে হসপিটাল না পৌঁছে দিলে সত্যিই খুব বিপদে পড়তাম । যাইহোক তবে সেই দিন সত্যি তাকে আর বদমেজাজি নয় বরং ভালো মানুষ মনে হয়েছিল। যাইহোক তারপর তার সঙ্গে অনেকবার দেখা হয়েছে অনেক ঝগড়া অনেক মান ও অভিমান ও হয়েছে আটলাস্ট (atlast) বন্ধুত্ব টাও হয়েছে । এই বন্ধুত্ব থেকে কবে যে ভালোবাসা টা হয়েছে সত্যি বুঝতে পারিনি এর মধ্যে আমার সরকারি চাকরি টা হয়ে গেলো । এই ৫ দিন হলো কাজে জয়েন হয়েছি সত্যিই সৌমিক আমার জীবনে লাকি চার্ম হয়ে এসেছে। হ্যাঁ সেই বদমেজাজি ছেলেটার নাম সৌমিক। সত্যি বলতে সেই সৌমিক আজ অনেক চেঞ্জ সে এখন বড়োদের সম্মান করে আসলে ওর মাকে হারানোর পর এমন হয়েগেছিল এখন তো আমার মায়ের কাছে ও আর ওর কাছে আমার মা আমার থেকেও প্রিয় । সত্যি বলতে আমার এই ব্যাপারটা খুবই ভালো লাগে আমি তো ঠিক এমন কাউকেই চেয়েছিলাম যে আমার মা কে আমার চেয়েও বেশি সম্মান করবে। ৩ মাস পরে, যাইহোক যেই আমি একদিন বিয়ে করতে চায়নি  সেই আমি আজ 2nd February আমাদের সেই অচেনা প্রেমর পরিনতি দিতে যাচ্ছি।


🌺🌺  সবাই জানাবেন গল্প কেমন লাগলো?🙂🙂 💐🙏ধন্যবাদ 🙏🌼।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন